প্রোব নিউজ, ঢাকা: ক্রিমিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া দক্ষিন এশিয়ার ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা এর বিরোধিতায় অবস্থান নিলেও ভারত রাশিয়ার নীতিকে সমর্থন দিয়েছে। যা ভাবার বিষয় বলে
মনে করেন বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান(অব.)।
মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান(অব.) প্রোব নিউজকে জানান, ইউরোপে নতুন স্বাধীন হওয়া দেশগুলোকে ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা কতটুকু রক্ষা করতে পারবে তা এখন পরীক্ষার মুখে পড়বে। বিশেষ করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং স্বার্বভৌত্বও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেব। রাশিয়ার নীতির বিরুদ্ধে তারা যে একক অস্থান নিয়েছে তা কতটুকু বজায় রাখতে পারবে সেই পরীক্ষায়ও পড়বে এখন তারা। তিনি জানান, ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি শক্তি বিশেষ করে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। তাই রাশিয়ার ওপর তারা যে আংশিক অবরোধ আরোপ করেছে তা শেষ পর্যন্ত আর এগোবে কী-না নির্ভর করছে তারা কতটুকু চাপ সহ্য করতে পারবে তার ওপর। কারণ চাপের মুখে পড়ে রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপের দিকে গ্যাস সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দিতে পারে। তিনি বলেন একই সঙ্গে রাশিয়া জাতিসত্বার যে নীতিতে এগোচ্ছে তা আরো শক্তিশালী করতে চাইবে। পুতিন নতুন নীতিকে আরো বিস্তৃত করতে চাইবেন। যা হয়তো শক্তিশালী আরেক রাশিয়ার জন্ম দেবে।
মুনীরুজ্জামান বলেন, ‘ক্রিমিয়ার ব্যাপরে রাশিয়ার নীতিকে সমর্থন দিয়েছে ভারত। তাই এশিয়া বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়ার ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে তাদের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতি স্বাধীনতা চাপের মুখে পড়তে পারে। ’
প্রোব/হার/জাতীয়/ ১৭.০৩.২০১৪