প্রোবনিউজ ডেস্ক: বিনিয়োগকারীদের পাওনা ২৪ হাজার কোটি রুপি ফেরত দেয়ার বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় সাহারা ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়কে তিহার জেলে পাঠিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে একদিন লাপাত্তা থাকার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী সুব্রতকে গ্রেপ্তার করে লখনৌ পুলিশ। নিয়ম ভেঙে প্রায় ৩০ লাখ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বন্ড স্কিমে নেয়া প্রায় ২৪ হাজার কোটি রুপি ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১২ সালে সাহারা গ্রুপের বিরুদ্ধে এই মামলা করে ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ বোর্ড। ওই মামলাতেই মঙ্গলবার সুব্রত রায়কে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে ঢোকার মুখেই সাহারা প্রধানের মুখে আচমকা কালি ছিটিয়ে দেন এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় একজন আইনজীবী বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। এ সময় সুব্রত রায়কে ‘গরিবদের চোর’ বলেও আখ্যায়িত করেন মনোজ শর্মা নামের ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ তাকে আটক করে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালতের বাইরে এই অভিজ্ঞতার পর এজলাসে হাজির হয়ে প্রথমেই গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে না আসতে পারার জন্য বিচারকের কাছে ক্ষমা চান ৬৫ বছর বয়সী সুব্রত। তিনি আদালতে হাজির হতে না পারার কারণ হিসাবে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেন এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য দুই মাস সময় চান। তার ওই ব্যাখ্যা সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণের বেঞ্চ তাকে ১১ মার্চ পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সুব্রত রায়কে এক সময়ের কুখ্যাত তিহার জেলে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ, অর্থ-বাণিজ্যের সাময়িকি ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী যিনি ভারতের পঞ্চম শীর্ষ ধনী।
প্রোবনিউজ/ বান/ আন্তর্জাতিক ০৫.০৩.২০১৪