প্রোব নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী ও সাভারের রামচন্দ্রপুওে র্যা বের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে তিন জন নিহত হয়েছে। ঢাকায় নিহত দুÕজন হলেন অসীম (৫০) ও সংগ্রাম (৪৫)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে সাভারে নিহত একজন ডাকাত দলের সদস্য বলে র্যানব জানালেও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
র্যা ব-১০ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার জানান, কদমতলীতে নিহত দুইজন রোববার দুপুরে র্যা্বের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তিনি আরো জানান, রোববার কদমতলীর একটি বাসার চিলেকোঠায় অপহারণকারীরা কয়েকজনকে অপহরণ করে নির্যাতন চালাচ্ছে- এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় র্যাছব। সেসময় অপহরণকারীরা টের পেলে র্যাবব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যা বও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির মধ্যে দুই অপহরণকারী এবং তিন র্যা ব সদস্য আহত হন। পরে ওই বাড়ি থেকে তিন অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে অপহরণকারীদের দুটি পিস্তলও পাওয়া যায় বলে জানায় র্যা ব।
বন্দুকযুদ্ধ আহত দুই কথিত অপহরণকারীকে র্যা ব সদস্যরা দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই তাদেও মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া দুজনের দেহেই গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।
এদিকে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সাভারের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে রামচন্দ্রপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আরো একজন। সেসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চাপাতি, একটি রামদা ও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করার দাবি করেছে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামালের ভাষ্য অনুযায়ী, একদল ডাকাত মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন- এমন খবর পেয়ে পুলিশ রামচন্দ্রপুর এলাকায় যায়। সেখানে ডাকাত দল পুলিশকে দেখে ককটেল ছোড়ে। পুলিশ ডাকাত দলটিকে ধাওয়া করে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে। এ সময় ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় এক ডাকাতের হাতে-পায়ে গুলি লাগে। পরে তাঁকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহত সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁর হাতে বোমার স্পিøন্টার লেগেছে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহিদুর রহমান জানান, রাত পৌনে তিনটার দিকে আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে সাভার থানার এসআই আশীষ কুমার নিয়ে আসেন। আহত ওই ব্যক্তির হাতে ও পায়ে ছড়রা গুলির আঘাত ছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান। তবে এই গুলির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হওয়ার কথা নয়।
প্রোব নিউজ/মম/ঢাকা/০৩.০৩.২০১৪