নিরাপত্তা ইস্যুতে কারখানা বন্ধ
ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর দাবি শ্রমিকনেতাদের
প্রোবনিউজ, ঢাকা: নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ কারখানার সংস্কারের সময় ক্ষতিপূরণের পরিমান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। কারখানা পরিদর্শনকারি ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার সেফটির (অ্যালায়েন্স) কাছে এ দাবি জনানো হয়েছে। তবে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অ্যালায়েন্স।
কারখানা পরিদশনে অ্যালায়েন্সের অগ্রগতি বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা এ দাবি জানান। বৃহস্পতিবার বিকেলে অ্যালায়েন্সের নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, কোন কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে অ্যালায়েন্স ও মালিকপক্ষ মিলে শ্রমিকদের দ্ইু মাসের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্ষতিপূরন দুই মাস থেকে ছয় মাস করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা।
অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারখানা বন্ধ করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং কারখানার মান উন্নয়নই তাদের উদ্দেশ্য। তবে এক্ষেত্রে কারখানার মালিক পক্ষেরও সহযোগীতা দরকার রয়েছে বলে উল্লেখ করে অ্যালায়েন্স।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যালায়েন্সের উপদেষ্টা ইন স্পাউল্ডিং বলেন, ‘পোশাক কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তারপরও কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সময়ের প্রয়োজন। পাশাপাশি অর্থেরও প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো কারখানা বন্ধ হোক’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কারখানার মান উন্নয়নে কাজ করছি যাতে আর কোনো শ্রমিককে কাজের প্রয়োজনে জীবন দিতে না হয়। এখন কারখানার অগ্নি, বিদ্যুৎ ও ভবন নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত সামগ্রি আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এসব যন্ত্র যামগ্রী যাতে এদেশেই উৎপাদন করা সম্ভব হয় সেই পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি আমরা।’
অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রবিন জানান, অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত ৬২৬টি কারখানার মধ্যে ৫০৮টি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি কারখানার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে রিভিউ প্যানেলে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে একটি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। বাকিগুলোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ওজেদুল ইসলাম খান, শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, মেজবাউদ্দীন আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম রনি, শুকুর মাহমুদ, শফিউদ্দীন আহমেদসহ প্রমূখ।
প্রোব/আরএম/অর্থনীতি/১৫.৫.২০১৪