সরকারগঠনে মমতা-মায়াবতী-চন্দ্রশেখরকে পাবে না বিজেপি
প্রোবনিউজ, ডেস্ক: নির্বাচন পূর্ববর্তী বেশিরভাগ জরিপে বিজেপির সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পাওয়ার আভাস মিললেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে তারা পাচ্ছেন না তা প্রায় নিশ্চিত। সেকারণে জোট সরকার নিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তাদের হিসেব-নিকেশ। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য জোট গড়ার ঘোষণা দেন। মোদির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী এবং অন্ধ্র প্রদেশের টি আর এস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও।
বৃহস্পতিবারের ওই সাক্ষাতকারে মোদী বলেছিলেন, মমতা, মায়াবতী এবং জয়ললিতাকে জোটে চাইবেন তিনি। জবাবে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী শুক্রবার সাংবাদিকদের বলছেন, “বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, দরকার হলে তিনি আইএডিএমকে নেত্রী, তৃণমূল নেত্রী ও বিএসপির শীর্ষনেত্রীর সমর্থন চাইবেন। কিন্তু আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি, কেন্দ্রে কোনো কিছুর বিনিময়েই বিজেপি-এনডিএকে সমর্থন দেব না।”
মায়াবতী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে উদ্দেশ করে বলেন, “উনি নার্ভাস হয়ে পড়েছেন। বিজেপি হয়ত বুঝতে পেরেছে সরকার গড়ার জায়গায় যেতে নাও পারে তারা।”
এদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, উনি যদি বলেন, মোদীর নেতৃত্বে সরকার গড়তে বিজেপি দরজা খোলা রাখছে, তবে আমরা বলব, আমাদের দরজা বন্ধ আর চাবিও পাওয়া যাচ্ছে না! তৃণমূল যে বিজেপিকে সমর্থন দেবে না তার প্রমাণ মেলে মমতার সাম্প্রতিক বিভিন্ন মন্তব্যেও। শুক্রবার বাহরামপুরে এক নির্বাচনী সমাবেশে মমতা, কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলে মোদির কোমরে দড়ি বেঁধে তাঁকে কারাগারে ঢোকাতেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এর আগে মোদিকে ‘গাধা’ ও ‘দাঙ্গাবাবু’ বলেছিলেন মমতা।
অন্যদিকে, অন্ধ্র প্রদেশের টি আর এস নেতা চন্দ্রশেখর বলেছেন, ইউপিএ সরকার গড়ার পরিস্থিতিতে থাকলে রাহুল গান্ধীকে আমরা প্রধানমন্ত্রী পদে চাইব। না হলে বামেদের তৃতীয় ফ্রন্টকে সমর্থন করব।
মমতা, মায়াবতী ও চন্দ্রশেখর বিজেপিকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় মোদীর ভোট পরবর্তী জোট গড়ার পরিকল্পনা যে ধাক্কা খেল তা বলাই বাহুল্য। কারণ নির্বাচনের পর কংগ্রেসের হাত যতে শক্তিশালী হবে, বিজেপি তত দুর্বল হবে।
প্রোব/বান/দক্ষিণ এশিয়া ১০.০৫.২০১৪