প্রোবনিউজ, ডেস্ক: ক্রিমিয়ার পর এবার বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা চায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলও। এজন্য একটি গণভোট দেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ চলছে পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি শহরে। ডনেট্স্ক, লুহ্আন্সক ও কারকিভ-এর বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে রুশপন্থী বিক্ষোভাকারীদের। বিক্ষোভের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে ইউক্রেন।
দেশের এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেকজন্দর তুর্চিনভ। পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি গণভোট দেবার দাবীতে ইউক্রেনের বড় তিনটি শহরে যে বিক্ষোভ চলছে তাতে অংশ নিয়ে রোববার সরকারি ভবনগুলোতে ভাঙচুর চালিয়েছে স্বাধীনতাকামীরা।
বিক্ষোভ চলার সময় কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কা-ধাক্কি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভের সময় কোনো কোনো সরকারি ভবনে জোর করে ঢুকে যায় প্রতিবাদকারীরা; কোথাও আবার ভবনের উপর থেকে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে রুশপন্থী উত্তেজিত জনতার দল।
পূর্বাঞ্চলের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিলো লুবকিভস্কি দাবী করেছেন, বিক্ষোভকে উস্কে দেবার জন্য ইউক্রেনে লোক নিয়োগ করেছে রাশিয়া। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পূর্বনির্ধারিত লিথুয়ানিয়া সফর বাতিল করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা প্রধানের সাথে জরুরি এক বৈঠক ডেকেছেন দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান ওলেকজন্দর তুর্চিনভ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন বসবাসরত রুশ-ভাষাভাষী জনগণ- যারা হুমকির মধ্যে রয়েছে-তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অধিকার রাশিয়ার রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের রুশভাষীরা কোনো হুমকির মধ্যেই নেই দাবি করে ইউক্রেন সরকার বলেছে যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অনধিকার প্রবেশকে প্রতিহত করবে ইউক্রেন।
প্রোব/বান/আন্তর্জাতিক ০৭.০৪.২০১৪