প্রোবনিউজ, ডেস্ক: মিয়ানমার সরকার সেদেশের মুসলমান রোহিঙ্গাদেরকে গণনা থেকে বাদ দিয়েই রোববার থেকে আদমশুমারির কাজ শুরু করেছে। এর আগে শনিবারই মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়, কেউ যদি নিজেকে রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচয় দেয়,তাহলে তাকে নিবন্ধিত করা হবে না। এর পরিবর্তে রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে নাম নিবন্ধনের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারে কয়েকশ’ বছর ধরে বসবাসকারী মুসলিমরা সরকারের এ নির্দেশ উপেক্ষা করে নিজেদেরকে জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা উল্লেখ করে সেদেশের নাগরিক হিসেবে নিবন্ধনের দাবি জানাচ্ছেন। রোববার সকালে আদমশুমারির জন্য গণনাকারীদের দল মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে গিয়ে সরকারি নির্দেশের কথা জানালে গ্রামবাসী সেভাবে নিবন্ধনে রাজি হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণনাকারীরা বিফল হয়ে ফিরে যান। তবে উগ্র রাক্ষাইন যুবকরা গ্রামে গ্রামে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে- 'এর পরিণতি ভয়াবহ হবে'।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সরকার সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আগত ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে গণ্য করে ইয়াংগুন। তাদেরকে কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে সেদেশ থেকে বিতাড়নের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মুসলমান হওয়ার কারণেই তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের একটা বড় অংশই এখন শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার নারী-পুরুষ স্বজন হারিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রোব/বান/আন্তর্জাতিক ৩১.০৩.২০১৪