আফগান জঙ্গিদের গুলিতে ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত
প্রোবনিউজ, ডেস্ক: সিরিয়ার সংঘাত নিয়ে এক আন্তর্জাতিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রথমবারের মতো ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, আলোচনায় ইরানকে ‘অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে’ বলে প্রত্যাশা করছেন।
তবে এতে ইরানি নেতারা উপস্থিত থাকবেন কিনা তা পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ভিয়েনায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছে সিরিয়ার পশ্চিমা-সমর্থিত বিরোধীদলগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র উপসাগরীয় আরব দেশগুলো।
তবে ইতোমধ্যেই এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন হয়েছে। সিরিয়া বিষয়ক আলোচনায় ওয়াশিংটন নিশ্চিতভাবেই ইরানকে স্বাগত জানাচ্ছে না, কিন্তু দেশটির বিষয়ে ইরানের প্রভাব স্বীকার করে নিতে একরকম বাধ্য হয়েছে। ভিয়েনা আলোচনায় সিরিয়া বিষয়ক প্রধান পক্ষগুলোর উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে আলোচনায় ইরান ‘অন্যতম প্রধান পক্ষ’ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেন কিরবি। তবে ইরান ‘এখনো তা হয়নি’ বলেও যোগ করেন তিনি।
ইরানি প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেবেন কিনা তা ইরানি নেতাদের উপরে নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। আসাদ সরকারকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে চার বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইরান কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে বলে ধারণা করা হয়।
সামরিক উপদেষ্টা, হ্রাসকৃত মূল্যে অস্ত্র সরবরাহ ছাড়াও সিরিয়াকে জ্বালানি তেল ও ঋণ দেওয়ার পেছনে এসব অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে আসাদ বাহিনীর পক্ষ হয়ে লড়াই করতে সিরিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্তের পেছনেও ইরানের প্রভাব কাজ করেছে বলে মনে করা হয়।
প্রোব/পি/আন্তর্জাতিক/২৮.১০.২০১৫