‘ধর্মনিরপেক্ষ' রাষ্ট্রই থাকছে নেপাল
প্রোবনিউজ, ডেস্ক: ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের পতনের পর ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিটি খারিজ করে দিল দেশটির গণ পরিষদ। সোমবার নেপালের গণপরিষদে দাবিটি খারিজ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
দেশের নাগরিকদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, এই যুক্তিতে রাজতন্ত্রের সমর্থক হিন্দুপন্থী জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের তরফে কমল থাপা প্রস্তাব দেন, হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ফের স্বীকৃত হোক নেপাল। কিন্তু গণপরিষদের চেয়াম্যান সুবাস চন্দ্র নেমবাং ওই প্রস্তাব বাতিল করার পর ভোটের দাবি তোলেন কামাল থাপা।
এ বিষয়ে গণপরিষদের ৬০১ সদস্যের মত জানতে চাওয়া হলে মাত্র ২১ জন ভোটের পক্ষে মত দেন। গণপরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রস্তাবে ভোট করতে হলে অন্তত ৬১ সদস্যের অনুমতি প্রয়োজন হয়।
২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র পরিচালিত নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু তার পর রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের সময় সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয় হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই দেশটি।
চলতি বছর জুলাই মাসে গণভোটের মাধ্যমে নেপালের সাধারণ মানুষ রায় দেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে নয়, ‘হিন্দু’ বা ‘স্বাধীনধর্মী’ রাষ্ট্রের নামে নেপালের পরিচিতি চান তাঁরা।
এদিকে গণ পরিষদে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি খারিজ হওয়ার পর কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় হলুদ ও গেরুয়া পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান হিন্দুপন্থী জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা মিছিল করে গণ পরিষদের ভিতর ঢুকতে চাইলে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের।
প্রোব/পি/দক্ষিণএশিয়া/১৫.০৯.২০১৫