সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!
প্রোবনিউজ, ডেস্ক: দুই নেপালি নারী গৃহকর্মীকে চারমাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভারতের সৌদি আরব দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নয়াদিল্লীর কাছে গুরগাঁও এলাকায় ঐ কর্মকর্তার ফ্লাটে একটি এনজিওর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গেল সোমবার রাতে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ভারতে সৌদি দুতাবাসের তরফ থেকে ঘটনাটিকে ‘সম্পুর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি এজেন্সেীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘সৌদি দূতাবাসের তরফে দাবি করা হয়েছে ঘটনাটি তাদের কাছে থাকা তথ্যের পরিপন্থী। সৌদি দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বরাতে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ তৃতীয় ব্যক্তির কথা শুনে আমার দেশের সুনাম নষ্ট করেছে।
দুই নেপালি নারী উদ্ধারের এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্থানীয় ডিএলএফ-২ এর থানায় সংঘবদ্ধধর্ষণ, ও আটকে রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের হলেও কুটনৈতিক বিধিনিষেধ এর কারনে অভিযুক্ত ঐ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। কুটনীতিক রীতি অনুযায়ী কেবলমাত্র অনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দেয়ার পর সৌদি সরকারকে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানাতে পারবে ভারত।
ঘটনার বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মাইতি-ভারত নামে এক এনজিও গুরগাঁও পুলিশকে দুই নেপালির দুর্দশার সম্পর্কে জানায়। একটি অভিজাত আবাসিক এলাকায় সৌদি দূতাবাসের সেই কর্মকর্তার ফ্ল্যাট থেকে দিন দশেক আগে আগে পালিয়ে যায় তৃতীয় এক নেপালি গৃহকর্মী। তাঁর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঐ ফ্ল্যাট থেকে দুই নেপালিকে উদ্ধার করা হয়। তিনদিন কাজ করে পালিয়ে যাবার আগে তৃতীয় এই গৃহকর্মী অন্য দুজনকে সহায়তা করতে নিজের মোবাইল ফোন ঐ ফ্লাটে রেখে যান।
মাইতি-ভারতের প্রধান বাল কৃষ্ণ পান্ডে জানিয়েছেন, পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া নারীর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তাঁর ফেলে আসা মোবাইলের মাধ্যমে অন্য দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ঘটনাটি প্রথমে আমরা নেপালি দূতাবাসকে জানাই এবং সোমবার গুরগাঁও পুলিশের একটি দল নিয়ে ফ্ল্যাটে পৌঁছাই।’
পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেডিকেল পরিক্ষার মাধ্যমে যৌন নির্যাতন নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের দুজনকে সেখানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নির্যাতিত দুই নারী সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘সৌদির সেই কর্মকর্তা তাদের শুধু পিটিয়ে ক্ষান্ত হত না তাদের বারবার ধর্ষণও করত। কখনো ছুরি ধরে তাদের বাধ্য করত।
তারা আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সৌদি কর্মকর্তার বন্ধুরাও তাঁর ফ্ল্যাটে আসতো। তাদের শরীর মেসেজ করে দিতে হত।তাঁর বন্ধুরাও তাদের ধর্ষণ করত।’
স্থানীয় পুলিশ কমিশনার নাভদিপ সিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছেন এবং সৌদি আরবের দূতাবাসকে ঘটনাটি যাচাই করতে আহ্বান জানিয়েছেন। পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিন।
প্রোব/পি/দক্ষিণএশিয়া/০৯.০৯.২০১৫