রায়গড়ে পাওয়া মানবদেহের সঙ্গে ডিএনএ মিলল ইন্দ্রাণীর
প্রোবনিউজ, ডেস্ক: ওড়নার আড়ালে চোখের নীচ থেকে চিবুক পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। জেল হেফাজতের নির্দেশ শোনার পরে সামান্য হাসি ফুটে উঠল ঠোঁটের কোণে। হাত তুলে বিচারককে নমস্কার করে বেরোনোর আগে নড়ে উঠল ঠোঁট। কিছু বলতে চাইলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
শনিবার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কাগজ-কলম চেয়েছিলেন। দেওয়া হয়নি। এ দিনও তাকে চুপ করিয়ে দিলেন পাশে থাকা দুই নারী পুলিশকর্মী। ইন্দ্রাণী তখনও জানেন না, পুলিশের জেরা থেকে রেহাই পেলেও তার জন্য অপেক্ষা করে আছে অনেক বেশি অস্বস্তিকর একটা খবর। কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে তাদের পত্রিকায়।
খবরটি হচ্ছে রায়গড়ের জঙ্গল খুঁড়ে পাওয়া মানবদেহের হাড় ও দাঁত পাঠানো হয়েছিল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেই ডিএনএ-র সঙ্গে ইন্দ্রাণীর রক্তের নমুনা মিলে গিয়েছে। অতএব পুলিশ এখন নিশ্চিত করে বলতে পারবে যে, রায়গড়ে পাওয়া দেহটি শিনারই। শিনা ইন্দ্রাণীরই মেয়ে এবং তাকে খুনই করা হয়েছে। এ বার শিনার সঙ্গে সিদ্ধার্থর ডিএনএ মেলে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা। সিদ্ধার্থকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী করতে চায় পুলিশ। তার জন্য ডিএনএ রিপোর্টটি জরুরি।
ভারতে শিনা হত্যার অভিযোগে ২৫ অগস্ট ইন্দ্রাণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দু’সপ্তাহ পরে এ দিন পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে গেলেন তিনি। ধৃত চালক শ্যাম রাইয়েরও জেল হেফাজত হয়েছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় শুনানি।
সূত্র: আনন্দবাজার
প্রোব/পি/দক্ষিণএশিয়া/০৮.০৯.২০১৫